তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে?

তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে?

তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথই হলো তড়িৎ বর্তনী।

তড়িৎ বর্তনী হলো এমন একটি পথ বা রেখা যা দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হয়। সুতরাং তড়িৎ বর্তনী এমন একটি সম্পূর্ণ রূপ যা বৈদ্যুতিক স্রোতকে চারদিকে প্রবাহিত করতে পারে।

তড়িৎ বর্তনীর প্রকারভেদ

তড়িৎ বর্তনী দুই প্রকার। যথাঃ

ক) শ্রেণি বর্তনী

খ) সমান্তরাল বর্তনী

ক) শ্রেণি বর্তনীঃ যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো পরপর সাজানো থাকে তাকে শ্রেণি বর্তনী বলে।

শ্রেণি বর্তনী

চিত্রে কোষ E, দুইটি বাল্ব B1, B2 পরপর সাজিয়ে শ্রেণি বর্তনী তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু এই বর্তনীতে একটি মাত্র পথ রয়েছে, তাই এর সর্বত্র একই প্রবাহ চলবে। এখন যদি একটি অ্যামটিারকে A, B, C বিন্দুতেও সংযোগ দেওয়া যায় তাহলেও তড়িৎ প্রবাহের একই মান পাওয়া যাবে।

বিয়ে বাড়িতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আলোকসজ্জায় যে সকল ছোট ছোট বাতি ব্যবহার করা হয় এগুলো শ্রেণিবদ্ধভাবে সংযুক্ত করা হয়। আমরা টর্চ লাইটে একাধিক ব্যাটারিকে শ্রেণিতে সংযুক্ত করে ভোল্টেজ বৃদ্ধি করে থাকি। তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপের জন্য অ্যামিটারকে বর্তনীতে শ্রেণিতে যুক্ত করা হয়।

খ) সমান্তরাল বর্তনীঃ যে বর্তনীতে তড়িৎ উপকরণগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে প্রত্যেকটির এক প্রান্তগুলো একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে তবে তাকে সমান্তরাল বর্তনী বলে।

সমান্তরাল বর্তনী

চিত্রে বাল্ব B1 ও B2 এর একপ্রান্ত a বিন্দুতে এবং অপর প্রান্ত b বিন্দুতে সংযুক্ত থাকায় এগুলো একটি সমান্তরাল বর্তনী তৈরি করে। সমান্তরাল বর্তনীতে একাধিক পথ থাকায় প্রত্যেক পথ দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলে।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url