তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কাকে বলে?

তরঙ্গদৈর্ঘ্য (Wave length) কাকে বলে?

সরল ছন্দিত স্পন্দনের একটি পূর্ণ কম্পনের সময় অর্থাৎ পর্যায়কালে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে।

তরঙ্গ সঞ্চালনকারী কোনো কম্পনশীল কণার একটি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে সেই সময়ে তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে। তরঙ্গের উপর পরপর দুটি সমদশা সম্পন্ন কণার মধ্যবর্তী দূরত্বই হলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্য

তরঙ্গদৈর্ঘ্য কাকে বলে
তরঙ্গদৈর্ঘ্য

চিত্রে, B ও C বিন্দুর মধ্যের দূরত্ব BC, D ও E এর মধ্যের দূরত্ব, DE তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। একে গ্রীক বর্ণ  λ(ল্যামডা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। সুবিধা মতো দুটি সমদশা সম্পন্ন বিন্দু নিয়ে তাদের মধ্যের দূরত্ব চিহ্নিত করে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্দেশ করা যেতে পারে। পর পর দুটি তরঙ্গ শীর্ষ বা পরপর দুটি তরঙ্গ পাদের মধ্যবর্তী দূরত্বও একটি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (Wavelength)

কোনো তরঙ্গের বেগ v এবং সে তরঙ্গের উপর অবস্থিত কোনো কম্পনশীল বস্তুর কম্পাঙ্গ f হলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, 

Frequently Asked Questions

১) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি কার বা কোন রশ্মির?

উত্তরঃ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং বর্ণ পরস্পর বিপরীত সম্পর্কযুক্ত হয়। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত বেশি হয়, বর্ণ তত কম বেগুনি হয় এবং তত বেশি লাল হয়। সুতরাং, সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো হবে লাল।

আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ক্রম হল:

  1. বেগুনী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (380-450 nm)
  2. নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (450-495 nm)
  3. সবুজ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (495-570 nm)
  4. হলুদ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (570-590 nm)
  5. কমলা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (590-620 nm)
  6. লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য (620-750 nm)

অতএব, সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো হল লাল।

২) তরঙ্গ দৈর্ঘের একক কি?

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘের একক মিটার (meter)।

৩) তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের প্রতীক কি?

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের প্রতীক হলোλ(ল্যামডা)।

৪) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র কি?

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র হলো λ=vf

৫) তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মাত্রা কি?

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘের মাত্রা ML1T

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url