কিভাবে বর্ণালী উৎপন্ন হয়? বর্ণালীর ব্যবহার

কিভাবে বর্ণালী উৎপন্ন হয়?

কোনো নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে অবস্থানকালে ইলেকট্রন যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি শোষণ করে তাহলে লাফ দিয়ে উপরের স্তরে গমন করে। আবার যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে তবে লাফ দিয়ে নিচের স্তরে গমন করে। শক্তি আলো হিসেবে শোষিত বা বিকিরিত হয়। এর ফলেই বর্ণালী সৃষ্টি হয়।

বর্ণালী উৎপন্ন হওয়ার আরও কিছু উপায়

  • আলোর বিচ্ছুরণ: আলো যখন কোনো ঘন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যায় তখন এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন হারে বিচ্ছুরিত হয়। এর ফলে আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো আলাদা আলাদা দিকে বিচ্ছুরিত হয়।
  • আলোর প্রতিফলন: আলো যখন কোনো পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয় তখন এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন হারে প্রতিফলিত হয়। এর ফলে আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো আলাদা আলাদা দিকে প্রতিফলিত হয়।
  • আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভরশীল অপসারণ: আলো যখন কোনো পৃষ্ঠ থেকে অপসারিত হয় তখন এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ভিন্ন ভিন্ন হারে অপসারিত হয়। এর ফলে আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো আলাদা আলাদা দিকে অপসারিত হয়।

বর্ণালীর ব্যবহার

  • জ্যোতির্বিদ্যায়: বর্ণালী ব্যবহার করে গ্রহ, নক্ষত্র এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর গঠন এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।
  • রসায়নবিদ্যায়: বর্ণালী ব্যবহার করে বিভিন্ন পদার্থের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।
  • পদার্থবিদ্যায়: বর্ণালী ব্যবহার করে বিভিন্ন পদার্থের শারীরিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।
  • চিকিৎসাবিজ্ঞানে: বর্ণালী ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা যায়।

বর্ণালী হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুনঃ

Next Post Previous Post