পরিবেশ রসায়ন | HSC রসায়ন দ্বিতীয় পত্র Notes
রসায়ন দ্বিতীয় পত্র নোট
পরিবেশ রসায়ন নোট
আদর্শ গ্যাস কাকে বলে?
যেসব গ্যাস সকল তাপমাত্রায় ও চাপে গ্যাসের সূত্রসমূহ যেমন বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র, অ্যাভোগেড্রোর সূত্র যথাযথভাবে মেনে চলে তাদের আদর্শ গ্যাস বলে।
এসিড বৃষ্টি কাকে বলে?
যে বৃষ্টির পানিতে নানাবিধ অম্লধর্মী অক্সাইড বা এসিড মিশ্রিত থাকার কারণে ঐ বৃষ্টির পানির pH < 5.6 হয় সে বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলে।
RMS বেগ কী?
RMS বেগ হলো কোনো গ্যাসের অণুসমূহের গতিবেগের বর্গের গড় মানের বর্গমূল।
BOD কাকে বলে?
BOD এর পূর্ণরূপ হলো Biological Oxygen Demand। এর অর্থ হলো জৈব রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা। এক লিটার নমুনা পানির জৈব দূষক পদার্থ অণুজীব দ্বারা বিয়োজনের জন্য যত mg অক্সিজেন প্রয়োজন সেটাই হলো ঐ নমুনার BOD।
STP কি?
STP এর পূর্ণরূপ হচ্ছে - Standard Temperature and Pressure। এ পদ্ধতিতে তাপমাত্রা 0°C বা 273K ও চাপ 1 atm বা 101.325 kPa ধরা হয়।
আংশিক চাপ কী?
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো গ্যাস মিশ্রণের যেকোনো একটি উপাদান গ্যাস এককভাবে মিশ্রণের মোট আয়তন দখল করে যে চাপ দেয় তাকে ঐ উপাদানের সাপেক্ষে আংশিক চাপ বলে।
মোলার গ্যাস ধ্রুবক কী?
স্থির চাপে 1 mol কোনো আদর্শ গ্যাসের তাপমাত্রা 1 K বাড়ার ফলে যে পরিমাণ আয়তন সম্প্রসারণজনিত কাজ সম্পন্ন হয় তাকে মোলার গ্যাস ধ্রুবক বলে।
SI এককে মোলার গ্যাস ধ্রুবক R এর মান কত?
SI এককে মোলার গ্যাস ধ্রুবক R এর মান 8.314 mol-1K-1।
LPG এর পূর্ণরূপ লিখ।
LPG এর পূর্ণরূপ হলো: Liqufied Petroleum Gas.
ঘূর্ণিঝড় কী?
উচ্চচাপের বায়ু ও জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ নিম্নচাপের স্থলভাগ অঞ্চলে প্রবল গতিতে চক্রাকারে ঘূর্ণি সৃষ্টি করে, একেই বলা হয় ঘূর্ণিঝড়।
সাইক্লোন শব্দের অর্থ কী?
সাইক্লোন শব্দটি গ্রিক শব্দ 'kyklos' থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো Coli of snakes বা সাপের কুণ্ডলী।
গ্যাসের ঘনত্ব কিসের উপর নির্ভর করে?
গ্যাসের ঘনত্ব সব সময় গ্যাসের চাপ ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
গ্যাস অণুর গড় মুক্ত পথ কী?
গ্যাস অণুগুলোর মধ্যে দুটি সংঘর্ষের মধ্যবর্তী দূরত্বসমূহের গড় মানকে গ্যাস অণুর গড় মুক্ত পথ বলা হয়।
CNG গ্যাসের স্ফুটনাঙ্ক কত?
CNG গ্যাসের স্ফুটনাঙ্ক -162°C.
দুর্বল অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারক শক্তিশালী হয় কেন?
দুর্বল অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারক শক্তিশালী হয়। কারণ দুর্বল অম্ল কর্তৃক প্রোটন ত্যাগের প্রবণতা কম হয়। ফলে দুর্বল অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারকের প্রোটনের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ফলে এটি তীব্র ক্ষারধর্মী হয়। তাই দুর্বল অম্লের অনুবন্ধী ক্ষারক শক্তিশালী হয়।
মৃদু এসিড ও মৃদু ক্ষারকের কোনো উপযুক্ত নির্দেশক নেই কেন?
মৃদু এসিডের দ্রবণে মৃদু ক্ষার দ্রবণ ফোঁটায় ফোঁটায় যোগ করলে দ্রবণের pH এর মান ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রশমন বিন্দুর কাছাকাছি এলেও দ্রবণের pH মানের হঠাৎ কোনো বিরাট পরিবর্তন সৃষ্টি করা যায় না। কারণ দ্রবণের pH মানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। তাই এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো উপযুক্ত নির্দেশক কার্যকর হয় না। তবে এ ধরনের প্রশমন বিক্রিয়ায় নির্দেশক ফেনফথ্যালিন ও মিথাইল রেড এর মিশ্রণকে ব্যবহার করা হয়।
সুতরাং বলা যায় মৃদু এসিড ও মৃদু ক্ষারকের কোনো উপযুক্ত নির্দেশক নেই।
মানবদেহের আর্সেনিকের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
মানবদেহে আর্সেনিকের (১) ক্ষণস্থায়ী ও (২) দীর্ঘস্থায়ী এ দু'ধরনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
১) ক্ষণস্থায়ী প্রভাবঃ আর্সেনিকের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে পাকস্থলীতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। মুখগহ্বর শুকিয়ে যায় এবং খেতে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। রক্তনালী প্রসারণ ঘটে এবং রক্তনালি থেকে প্লাজমা অন্তঃকোষীয় স্থানে ব্যাপৃত হয়। এ কারণে রক্তের আয়তন ও প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। রক্তের আয়তন এবং বৃক্কের রক্তচাপ হ্রাসের ফলে বৃক্কের মূত্র উৎপাদন ক্রিয়া ব্যাহত হয়। এটি "রেনাল ফেলওর" নামে পরিচিত। অ্যাবডোমিনাল যন্ত্রণা অনুভূত হয়। সারাক্ষণ বমি বমি ভাব থাকে। যকৃত কোষে লিপিডের অতিরিক্ত সঞ্চয় ঘটে। ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। আর্সেনিকের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে ফুসফুসীয় রক্তজালিকার প্রাচীর ক্ষয়ে যায়। ফলে রক্তরস ফুসফুসে সঞ্চিত হয়ে "পালমোনারি ইডিমা" সৃষ্টি করে।
২) দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবঃ আর্সেনিকের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের মধ্যে চর্মে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। গলা, ঘাড়, বুক ও পিঠের চামড়ায় কালচে ধূসর বর্ণের দাগের সৃষ্টি হয়। হাতের ও পায়ের তালুতে আঁচিলের মতো গুটি বের হয়। দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে লিভার সিরোসিস, ফুসফুস ও মূত্র নালিতে ক্যান্সার হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী আর্সেনিক সংক্রমণের ফলে অস্থিমজ্জা কোষ থেকে রক্তকোষ উৎপাদন ব্যাহত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর্সেনিকের স্থায়ী বিষক্রিয়ার কারণে নরমোসাইটিক, অ্যানিমিয়া, থ্রম্বোসাইটোপিনিয়া, অ্যাপ্লাসটিক অ্যানিমিয়া এবং প্যানসাইটোপিনিয়ার মতো কঠিন রোগের সৃষ্টি হয়।
TDS বলতে কি বুঝ?
পানিতে কিছু কিছু অজৈব যৌগ, জৈব যৌগ, আয়ন বা অতি সূক্ষ্ম কণা সামান্য পরিমাণে হলেও দ্রবীভূত থাকে। এসব উপাদান এমনই সূক্ষ্মমাত্রায় থাকে যে মাঝে মধ্যে এদের উপস্থিতি শনাক্ত করা গেলেও দ্রবীভূত উপাদানের সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। পানিতে উপস্থিত এ জাতীয় অতি সূক্ষ্মকণার সমষ্টি হলো মোট দ্রবীভূত কঠিন উপাদান (TDS)। মিঠা পানির ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র TDS আলোচনা করা হয়।
TDS এর অন্তর্ভূক্ত প্রধান রাসায়নিক উপাদানসমূহ হলো- Ca2+, Na+, Cu2+, Cd2+, Hg2+, Ni2+, Co3+, Pb2+, As3+ ইত্যাদির সালফাইটসমূহ দ্বারা স্বল্পমাত্রায় দ্রবীভূত লবণসমূহ। এসব আয়নের Cl-, NO3-, PO43-, Br- ও I- লবণসমূহ স্বল্পমাত্রায় দ্রবীভূত অথবা সূক্ষ্মকণারূপে সাসপেন্ডেড বা কোলায়ডাল সল্ট অবস্থায় পানিতে বর্তমান থাকে।
পানিতে অতিমাত্রায় TDS থাকলে পানির স্বাভাবিক স্বাদ বিনষ্ট হয়।
- বায়ুমণ্ডলের উপাদান
- বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা, চাপ ও ঘনত্বের প্রভাব: ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের উৎপত্তি
- গ্যাসের সূত্র: বয়েল, চার্লস, অ্যাভোগাড্রো, ডালটনের সূত্রসমূহ
- বয়েলের সূত্র
- চার্লস বা গে-লুসাকের সূত্র
- মোল সংখ্যা
- গ্যাসের সমন্বয় সূত্র
- মোলার গ্যাস ধ্রুবক
- বিভিন্ন এককে R এর মান
- আদর্শ গ্যাস সমীকরণ (PV=nRT)
- আদর্শ সমীকরণের ব্যবহার
- গ্যাসের গতীয় তত্ত্ব
- আদর্শ গ্যাস ও বাস্তব গ্যাস
- আদর্শ আচরণ থেকে বাস্তব গ্যাসের বিচ্যুতি: আদর্শ আচরণ প্রদর্শনের শর্ত
- গ্যাস সিলিন্ডারজাতকরণে গ্যাস সূত্র প্রয়োগ
- নাইট্রোজেন ফিক্সেশন: বজ্রপাতে সংঘটিত বিক্রিয়া
- শিল্পের গ্যাসীয় বর্জ ও বায়ু দূষণ
- গ্রীন হাউজ গ্যাস, তার উৎস ও প্রভাব
- সি.এফ.সি এর ব্যবহার এবং ওজোনস্তর ক্ষয়
- এসিড বৃষ্টি, এর কারণ, প্রভাব ও প্রতিকার
- এসিড-ক্ষারক সম্পর্কিত আধুনিক মতবাদ : অ্যারোনিয়াস তত্ত্ব
- অম্ল-ক্ষার সম্পর্কিত ব্রনস্টেড-লাউরি মতবাদ
- অনুবন্ধী এসিড ও ক্ষারক
- অম্ল-ক্ষার সম্পর্কিত লুইস এর ইলেকট্রনীয় মতবাদ
- মিঠা পানির উৎস ও গুরুত্ব
- ভূ-পৃষ্ঠের পানির বিশুদ্ধতার মানদণ্ড
- শিল্প বর্জ ও পানি দূষণ
- পানি দূষণের কারণ অনুসন্ধান ও এর প্রতিকার
- পানির প্রাকৃতিক দূষণ- আর্সেনিক দূষণ
- খাদ্য শৃংখলে ভারী ধাতু (Pb, Cd, Cr) যুক্ত হওয়ার কারণ ও প্রভাব
- দ্রবণের প্রকারভেদ এবং দূষক পদার্থসমূহের বায়ু ও পানিতে দ্রবীভূত থাকার কৌশল
Comments
Post a Comment