পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র নোট
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ নোট
মহাকর্ষ সূত্র
মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কণা একে অপরকে নিজ দিকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তু কণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
মহাকর্ষীয় ধ্রুবক
একক ভরের দুটি বস্তুকণা একক দূরত্বে থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
কেপলারের সূত্র
প্রথম সূত্র : কক্ষের সূত্রঃ প্রতিটি গ্রহই সূর্যকে একটি ফোকাসে রেখে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে।
দ্বিতীয় সূত্র : ক্ষেত্রফলের সূত্রঃ গ্রহ এবং সূর্যের সংযোজক সরলরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।
তৃতীয় সূত্র : আবর্তনকালের সূত্রঃ সূর্যের চারদিকে প্রতিটি গ্রহের আবর্তনকালের বর্গ গ্রহের কক্ষপথের অর্ধপরাক্ষের ঘনফলের সমানুপাতিক।
অভিকর্ষ
পৃথিবী ও অন্য যে কোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাকে মহাকর্ষ বলে।
অভিকর্ষজ ত্বরণ
অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
অভিকর্ষ কেন্দ্র
একটি বস্তুকে যেভাবেই রাখা হোক না কেন বস্তুর ভেতরে অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে মোট ওজন ক্রিয়া করে সেই বিন্দুকে বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বলে।
মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র
কোনো বস্তুর আশে পাশে যে অঞ্চল ব্যাপী এর মহাকর্ষীয় প্রভাব বজায় থাকে অর্থাৎ অন্য কোনো বস্তু রাখা হলে সেটি আকর্ষণ বল লাভ করে, তাকে ঐ বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে।
মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবল্য
মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভরের একটি বস্তু স্থাপন করলে সেটি যে বল লাভ করে তাকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবল্য বলে।
মহাকর্ষীয় বিভব
অসীম থেকে একক ভরের কোনো বস্তুকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে মহাকর্ষীয় বল দ্বারা সম্পন্ন কাজের পরিমাণকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় বিভব বলে।
মুক্তি বেগ
সর্বাপেক্ষা কম যে বেগে কোনো বস্তুকে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না, সেই বেগকে মুক্তি বেগ বলে।