নমনীয়তা কাকে বলে? ডাকটিলিটি কাকে বলে?

নমনীয়তা কাকে বলে?

নমনীয়তা হল একটি পদার্থের এমন বৈশিষ্ট্য যা বাইরে থেকে প্রয়োগ করা টান, চাপ বা সংকোচনের অধীনে রূপ পরিবর্তিত হওয়ার পরে তার প্রাথমিক আকার এবং আকৃতি পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা। 

নমনীয়তার প্রকারভেদ

নমনীয়তা দুটি ধরণের হতে পারে। যথাঃ

প্রসার্যতাঃ প্রসার্যতা হল এমন পদার্থের নমনীয়তার পরিমাপ যা টানজনিত বলের অধীনে রূপবিকার করতে পারে। প্রসার্য পদার্থগুলিকে প্রসারিত বা পাতলা করা যেতে পারে। 

সংকোচ্যতাঃ সংকোচ্যতা হল এমন পদার্থের নমনীয়তার পরিমাপ যা সংকোচনজনিত বলের অধীনে রূপ পরিবর্তিত করতে পারে। সংকোচ্য পদার্থগুলিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বা বেলন দিয়ে চেপে আকৃতি পরিবর্তন করা যেতে পারে। 

নমনীয়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক সম্পত্তি যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রসার্য পদার্থগুলি তার, তার এবং তারের মতো পণ্য তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। সংকোচ্য পদার্থগুলি টিনের ধাতু, ধাতু এবং সীসা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।

নমনীয়তা পদার্থের অভ্যন্তরীণ কাঠামোর উপর নির্ভর করে। স্ফটিক পদার্থগুলি সাধারণত অস্বচ্ছ পদার্থের চেয়ে বেশি নমনীয় হয়। এটি কারণ স্ফটিক পদার্থগুলিতে পরমাণুগুলি একটি সুসংগঠিত কাঠামোতে সাজানো থাকে যা তাদের রূপবিকার সহজ করে তোলে।

ডাকটিলিটি কাকে বলে?

ডাকটিলিটি হল একটি পদার্থের এমন বৈশিষ্ট্য যা বাইরে থেকে প্রয়োগ করা টান বা চাপের অধীনে গলিত না হয়ে তার আকার এবং আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে। ডাকটিলি পদার্থগুলিকে টান দিয়ে পাতলা করা বা চাপ দিয়ে দীর্ঘ করা যেতে পারে।

ডাকটিলিতার একটি উদাহরণ হল তামা। তামাকে পাতলা পাত বা তারে টেনে নেওয়া যেতে পারে। অন্য একটি উদাহরণ হল সোনা। সোনাকে পাতলা পাত বা তারে টেনে নেওয়া ছাড়াও, এটিকে গোলাকার, বর্গাকার বা অন্যান্য আকারে পিষে নেওয়া যেতে পারে।

ডাকটিলিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ যান্ত্রিক সম্পত্তি যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তামা এবং সোনা ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিক প্রকৌশল এবং গহনাশিল্পে ব্যবহৃত হয়।

ডাকটিলিতা পদার্থের অভ্যন্তরীণ কাঠামোর উপর নির্ভর করে। স্ফটিক পদার্থগুলি সাধারণত অস্বচ্ছ পদার্থের চেয়ে বেশি ডাকটিল হয়। এটি কারণ স্ফটিক পদার্থগুলিতে পরমাণুগুলি একটি সুসংগঠিত কাঠামোতে সাজানো থাকে যা তাদের রূপবিকার সহজ করে তোলে।

ডাকটিলিতার পরিমাপের জন্য একটি সাধারণ পদ্ধতি হল ডাকটিলিতা অনুপাত। ডাকটিলিতা অনুপাত হল টান দ্বারা প্রাপ্ত সর্বোচ্চ প্রসারণের পরিমাণ এবং প্রাথমিক দৈর্ঘ্যের অনুপাত।

ডাকটিলিতার কিছু উদাহরণ:

  • তামা
  • সোনা
  • রূপা
  • নিকেল
  • অ্যালুমিনিয়াম
  • স্টেইনলেস স্টিল

ডাকটিলিতার অভাব হল ভঙ্গুরতা। ভঙ্গুর পদার্থগুলি বাইরে থেকে প্রয়োগ করা টান বা চাপের অধীনে গলিত না হয়ে ভেঙে যায়।

আরো পড়ুনঃ সেকেন্ড দোলক কাকে বলে?

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url