মোল

মোল (Mole)

মোল

মোল হলো রাসায়নিক পদার্থের পরিমাপের একক।

কোনো পদার্থ এর যে পরিমাণের মধ্যে 6.023×1023 টি পরমাণু, অণু বা আয়ন থাকে সেই পরিমাণকে ঐ পদার্থের মোল বলা হয়।

যেমনঃ 12 গ্রাম C এর মধ্যে 6.023×1023 টি C পরমাণু থাকে।

রাসায়নিক পদার্থের (পরমাণুর ক্ষেত্রে) পারমাণবিক ভর অথবা (অণুর ক্ষেত্রে) আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ পদার্থের এক মোল বলা হয়।

অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা

কোনো পদার্থের এক মোলে যে পরিমাণ অণু, পরমাণু বা আয়ন বিদ্যমান থাকে তাকে অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা বলে।

অ্যাভোগ্রেড্রোর সংখ্যার মান

অ্যাভোগ্রেড্রোর সংখ্যার মান 6.023×1023 ।

গ্যাসের মোলার আয়তন


মোলার আয়তন

এক মোল পরিমাণ পদার্থের আয়তনকে মোলার আয়তন বলে। প্রমাণ অবস্থায় সকল গ্যাসীয় পদার্থের মোলার আয়তন সমান এবং তা 22.4 লিটার।

প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ

25° তাপমাত্রা ও 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপকে প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ বলে।

স্থূল সংকেত

যে সংকেত দ্বারা কোনো অণুতে বিদ্যমান পরমাণুসমূহের অনুপাত প্রকাশ করা হয় তাকে স্থূল সংকেত বলে। যেমনঃ বেনজিনের আণবিক সংকেত C6H6 হলে স্থূল সংকেত CH।

আণবিক সংকেত

যে সংকেত দ্বারা যৌগের অণুতে বিদ্যমান পরমাণুসমূহের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করে তাকে আণবিক সংকেত বলে। যেমনঃ বেনজিনের আণবিক সংকেত C6H6। তাহলে বেনজিনের 1 টি অণুতে 6 টি হাইড্রোজেন ও 6 টি কার্বন পরমাণু বিদ্যমান।

মোলার দ্রবণ

একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার দ্রবণের মধ্যে যদি এক মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তবে ঐ দ্রবণকে মোলার দ্রবণ বলে বা এক মোলার দ্রবণ বলা হয়। একে M দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

1 লিটার দ্রবণে যদি 2 মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তবে ঐ দ্রবণকে 2 মোলার দ্রবণ বলা হয়।

দ্রবণ

দুই বা ততোধিক বস্তুর এমন একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণ যাতে বস্তু সমূহের আপেক্ষিক পরিমাণ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে পারে তাকে দ্রবণ বলে।

দ্রব

দ্রবণে যে পদার্থ অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে থাকে তাকে দ্রব বলে।

দ্রাবক

দ্রবণে যে পদার্থ অধিক পরিমাণে থাকে তাকে দ্রাবক বলে।

জলীয় দ্রবণ

দ্রব ও দ্রাবক মিশ্রিত করে দ্রবণ প্রস্তুত করা হয়। দ্রবণ প্রস্তুতের সময় বিভিন্ন তরল পদার্থ যেমন - পানি, অ্যালকোহল, এসিড ব্যবহার করা হয়। তবে শুধুমাত্র দ্রাবক হিসেবে পানির তৈরি দ্রবণকে জলীয় দ্রবণ বলে।

মোলারিটি

একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়  1 লিটার দ্রবণের মধ্যে যত মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকে তাকে ঐ দ্রবণের মোলারিটি বলা হয়।


এসএসসি || রসায়ন || SSC || Chemistry

অধ্যায় - ০২ : পদার্থের অবস্থা
অধ্যায় - ০৩ : পদার্থের গঠন
অধ্যায় - ০৪ : পর্যায় সারণি
অধ্যায় - ০৫ : রসায়নিক বন্ধন
অধ্যায় - ০৬ : মোলের ধারণা ও রাসায়নিক গণনা
অধ্যায় - ০৭ : রাসায়নিক বিক্রিয়া
অধ্যায় - ০৮ : রসায়ন ও শক্তি
অধ্যায় - ০৯ : এসিড-ক্ষারক সমতা
অধ্যায় - ১০ : খনিজ সম্পদ ধাতু-অধাতু
অধ্যায় - ১১ : খনিজ সম্পদ- জীবাশ্ম
অধ্যায় - ১২ : আমাদের জীবনে রসায়ন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url