বংশগতি কাকে বলে?

বংশগতি কাকে বলে?

যে প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার আকার, আকৃতি, চেহারা, দেহের গঠন, প্রকৃতি, শরীরবৃত্ত, আচরণ ইত্যাদি নানাবিধ বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমিকভাবে তাদের সন্তান-সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হয় তাকে বংশগতি বলে।

অন্যভাবে, বংশগতি হলো পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানের মধ্যে জিনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্য অতিক্রম করার একটি উপায়।

জিন

বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে - 'Like father like son' অর্থাৎ যেমন পিতা তেমন পুত্র।

বংশগতির উপাদান হলো DNA তথা জিন (Gene)। জিন ক্রোমোজোমে অবস্থান করে। পিতা ও মাতার দেহ থেকে জিনগুলো জননকোষে এসে মিলিত হয়ে জাইগোট গঠন করে এবং পরিণতিতে সন্তান-সন্ততির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।

বংশগতি একটি রক্ষণশীল ধারণা। এ প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার বিশেষ লক্ষণগুলো সন্তানসন্ততির মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বংশধরের মধ্যে পিতা-মাতার লক্ষণগুলোর অবিকল প্রতিরূপ দৃষ্ট হয় না। একই পূর্ব পুরুষ থেকে সৃষ্ট সন্তানদের মধ্যে আকৃতি, গঠন-প্রকৃতি ও শারীরবৃত্তীয় সাদৃশ্য থাকলেও প্রত্যেকেরই কিছু স্বাতন্ত্র, বৈচিত্র্য এবং পার্থক্য থাকে। এগুলোকে পরিবৃত্তি বলা হয়। 

বংশগতি বিদ্যা কাকে বলে?

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতি সম্বন্ধে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়, তাকেই বংশগতি বিদ্যা বলে।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url