প্রযুক্তিগত পরিবেশ কাকে বলে?

প্রযুক্তিগত পরিবেশ কাকে বলে?

বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও গবেষণা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তি আমদানির সুযোগ প্রভৃতির উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত পরিবেশ হলো প্রযুক্তিগত পরিবেশ।

এ পরিবেশ বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা, গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিক কলাকৌশল ও পদ্ধতি প্রভৃতি মিলে গড়ে ওঠে। যেসব দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরিবেশে উন্নত তারা শিল্প বাণিজ্যেও উন্নত। 

এছাড়া, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সহজ করে।

আরো পড়ুনঃ

👉  ব্যবসা- বাণিজ্যের উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায় পরিবেশ এর ওপর - ব্যাখ্যা করো।

👉  বর্তমানে বিশ্বে ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম কেন?

👉  ব্যবসায়ের আইনগত পরিবেশ কাকে বলে?

👉  ব্যবসায়ের উৎপত্তির মূলে কি ছিল?

👉  ব্যবসায় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে - ব্যাখ্যা কর।

কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা

১. প্রযুক্তিগত পরিবেশ কাকে বলে?

যে পরিবেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাকে প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে। এই পরিবেশে প্রযুক্তিগত উপকরণ, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. প্রযুক্তিগত পরিবেশের প্রকারভেদ কী কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের প্রকারভেদ প্রধানত দুই প্রকার:

  • প্রাকৃতিক প্রযুক্তিগত পরিবেশ: যে পরিবেশে প্রকৃতি ও প্রযুক্তি একত্রিতভাবে কাজ করে, তাকে প্রাকৃতিক প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে।
  • কৃত্রিম প্রযুক্তিগত পরিবেশ: যে পরিবেশে শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাকে কৃত্রিম প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে।

৩. প্রযুক্তিগত পরিবেশের উপাদান কী কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রযুক্তিগত উপকরণ: যেমন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইত্যাদি।
  • প্রযুক্তিগত জ্ঞান: যেমন, প্রোগ্রামিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইত্যাদি।
  • প্রযুক্তিগত দক্ষতা: যেমন, কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা, মেশিন পরিচালনার দক্ষতা, ইত্যাদি।

৪. প্রযুক্তিগত পরিবেশের গুরুত্ব কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের গুরুত্ব অনেক। এই পরিবেশের মাধ্যমে:

  • মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
  • অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটে।
  • নতুন নতুন উদ্ভাবন হয়।

৫. প্রযুক্তিগত পরিবেশের সুবিধা কী কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
  • যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান সহজ হয়।

৬. প্রযুক্তিগত পরিবেশের অসুবিধা কী কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের অসুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কর্মসংস্থান হ্রাস পায়।
  • পরিবেশ দূষণ হয়।
  • সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়।

৭. প্রযুক্তিগত পরিবেশের নিয়ন্ত্রণের উপায় কী কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • প্রযুক্তিগত নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
  • প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
  • প্রযুক্তিগত আইনের প্রয়োগ।

৮. প্রযুক্তিগত পরিবেশের ধারণাটি প্রথম কে প্রবর্তন করেন?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের ধারণাটি প্রথম প্রবর্তন করেন মার্কিন বিজ্ঞানী জর্জ সাইমন। তিনি ১৯৬৯ সালে তার একটি প্রবন্ধে এই ধারণাটি তুলে ধরেন।

৯. প্রযুক্তিগত পরিবেশের ইতিহাস কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের ইতিহাস শুরু হয় প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু প্রযুক্তিগত পরিবেশের ধারণাটি আধুনিক যুগে এসে বিকাশ লাভ করে।

১০. প্রযুক্তিগত পরিবেশের ভবিষ্যৎ কী?

প্রযুক্তিগত পরিবেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে প্রযুক্তিগত পরিবেশের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত পরিবেশ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ ও সুন্দর করবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url