হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা লিখ।

হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা লিখ।

হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য  ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ-
  • লেনদেনসমূহ সঠিকভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধকরণ ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। তাই হিসাববিজ্ঞানের প্রথম উদ্দেশ্য লেনদেনসমূহকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিকভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ করা।
  • হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য আর্থিক ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা। লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ের গতি প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা সম্ভব। যাবতীয় আয় ও ব্যয় সঠিকভাবে লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের লাভ-ক্ষতি নির্ণয় করা সম্ভব।
  • প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, দায় ও মালিকানা স্বত্বের পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করা সম্ভব।
  • ব্যয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। হিসাববিজ্ঞান ব্যবসায়ের যাবতীয় ব্যয় সঠিকভাবে লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা ও জালিয়াতি রোধে হিসাববিজ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। যথাযথ হিসাবরক্ষণের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি রোধের পাশাপাশি তা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব।
  • আর্থিক তথ্যাবলি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানো এবং ব্যবসায়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহার করা।
  • প্রতিষ্ঠানের একাধিক বছরের আর্থিক বিবরণীর তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে উন্নতি ও অবনতির বিভিন্ন দিক চিহ্নিতপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
  • বিভিন্ন সেবামূলক অমুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠান। যেমন - স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ক্লাব ও সোসাইটিতে বিভিন্ন উৎস হতে অর্থের আগমন ও বহির্গমনের পরিমাণ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে নির্দিষ্ট সময়ান্তে এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাবের উদ্বৃত্ত নির্ণয় করা যায়।
  • সরকার বিভিন্ন উৎস হতে কর, শুল্ক, ভ্যাট ধার্যের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে এবং বিভিন্ন নিয়মিত ও উন্নয়নমূলক খাতে ব্যয় করে। সরকারের এসকল কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য হিসাববিজ্ঞান সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url