অক্ষর কাকে বলে?

অক্ষর কাকে বলে?

অক্ষর হচ্ছে বাগ্যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। ইংরেজিতে আমরা যাকে সিলেবল বলে অভিহিত করি, তা-ই অক্ষর। যেমন—‘বন্ধন’ শব্দটিতে বন্ + ধন—এ দুটি অক্ষর আছে। সাধারণ অর্থে অক্ষর বলতে বর্ণ বা হরফ (Letter)-কে বোঝালেও অক্ষর ও বর্ণ পরস্পরের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ নয়। বর্ণ বা হরফ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রূপ বা ধ্বনি-নির্দেশক চিহ্ন বা প্রতীক। ভাষাতাত্ত্বিকরা অক্ষরকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

যেমন—

♦ ‘নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে একই বক্ষস্পন্দনের ফলে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে উচ্চারিত হয়, তাকেই সিলেবল বা অক্ষর বলা যেতে পারে।’ —মুহম্মদ আব্দুল হাই

♦ ‘কোনো শব্দে যখন যে ধ্বনিসমষ্টি একসময়ে একত্রে উচ্চারিত হয়, তাকে অক্ষর বলে।’ —ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

♦ ‘এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টির নাম অক্ষর (সিলেবল)।’

অক্ষরের প্রকারভেদ

অক্ষর দুই প্রকার। যথা– ক. স্বরান্ত অক্ষর এবং খ. ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর।
ক. স্বরান্ত অক্ষর : যে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে স্বরান্ত অক্ষর বলে। 
যেমন- ভাষা = ভ + আ + ষ + আ; আশা = আ + শ + আ।

খ. ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর : যে অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর বলে। 
যেমন শীতল = শী + তল; পবন = প + বন।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url