দ্রাব্যতা কাকে বলে? দ্রাব্যতাকে প্রভাবিতকারী কারণসমূহ | দ্রাব্যতা নির্ণয়ের পদ্ধতি
দ্রাব্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা রসায়ন, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, দ্রাব্যতা ব্যবহার করে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ প্রস্তুত করা হয়, ঔষধ তৈরি করা হয়, এবং পানি পরিশোধন করা হয়।
দ্রাব্যতা কাকে বলে?
কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যত গ্রাম দ্রব 100 g দ্রাবকে দ্রবীভূত হয়ে সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে সেই ভর প্রকাশক সংখ্যাকে ঐ তাপমাত্রায় ঐ দ্রবের দ্রাব্যতা বলে।
দ্রাব্যতাকে প্রভাবিতকারী কারণসমূহ
দ্রাব্যের প্রকৃতি: সাধারণভাবে, আয়নিক যৌগগুলি দ্রুত দ্রবণীয় হয় এবং কোভ্যালেন্ট যৌগগুলি কম দ্রবণীয় হয়।
দ্রাবকের প্রকৃতি: সাধারণভাবে, পোলার দ্রাবকগুলি পোলার দ্রবণীয় হয় এবং নন-পোলার দ্রাবকগুলি নন-পোলার দ্রবণীয় হয়।
তাপমাত্রা: তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাধারণত দ্রবণের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায়।
চাপ: চাপ বৃদ্ধিতে সাধারণত গ্যাসের দ্রবণীয়তা বৃদ্ধি পায়।
দ্রাব্যতা নির্ণয়ের পদ্ধতি
দ্রাব্যতা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
গ্রাফিকাল পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে, দ্রাবকের তাপমাত্রা বনাম দ্রাব্যতার একটি গ্রাফ তৈরি করা হয়।
ভারসাম্য পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে, দ্রাবক এবং দ্রবীভূত পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক ভারসাম্য স্থাপন করে দ্রাব্যতা নির্ণয় করা হয়।
রঞ্জক পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে, দ্রবীভূত পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করার জন্য একটি রঞ্জক ব্যবহার করা হয়।
দ্রাব্যতার গুরুত্ব
দ্রাব্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌত ধর্ম, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:
রসায়ন: দ্রবণীয়তা বিক্রিয়াগুলির গতি এবং পথকে প্রভাবিত করে।
পদার্থবিজ্ঞান: দ্রবণীয়তা তরল এবং কঠিন পদার্থের মধ্যে সাম্যাবস্থাকে প্রভাবিত করে।
জীববিজ্ঞান: দ্রবণীয়তা জীবদেহে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।