তাপীয় সাম্যাবস্থা কাকে বলে?

একটি শীতল বস্তুর একটি উত্তপ্ত বস্তু সংস্পর্শে আনা হলে শীতল বস্তুটি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে এবং উত্তপ্ত বস্তুটি ক্রমশ শীতল হতে থাকে। এক সময় দুটি বস্তুর একই তাপমাত্রায় উপনীত হয়। এ অবস্থাকে তাপীয় সাম্যাবস্থা বলা হয়। People’s Choice

তাপ-তড়িৎ থার্মোমিটার কাকে বলে?

তাপ-তড়িৎ থার্মোমিটারের মূলতত্ত্ব হলোঃ দুটি ভিন্ন ধাতুর তারের দুই প্রান্ত জোড়া লাগিয়ে যদি বর্তনী তৈরী করা যায় এবং তার দুটির সংযোগ স্থল দুটিতে তাপমাত্রার ব্যবধান সৃষ্টি করা যায়, তাহলে ঐ বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহিত হবে। বর্তনীতে যে তাড়িচ্চালক বলের উদ্ভব হয় তাকে তাপীয় তড়িচ্চালক বল বলা হয়। People’s Choice

সকল হারমোনিকই উপসুর কিন্তু সকল উপসুর হারমোনিক নয় – কেন?

আমরা জানি, কোনো স্বরে যেসব বিভিন্ন সুর থাকে, তাদের মধ্যে যে সুরের কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম, তাকে মূর সুর বলে। অন্যান্য সুর, যাদের কম্পাঙ্ক মূল সুরের কম্পাঙ্কের চেয়ে বেশি, তাদের উপসুর বলে। আবার, উপসুরগুলোর কম্পাঙ্ক যদি মূল সুরের কম্পাঙ্কের সরল গুণিতক হয়, তাহলে সে সকল উপসুরকে হারমোনিক বলে।সুতরাং সকল হারমোনিকই উপসুর কিন্তু সকল উপসুর হারমোনিক নয়।

আলোর ক্ষেত্রে স্থির তরঙ্গ তৈরি করা সম্ভব নয় – কেন?

আলো তরঙ্গ হলেও এটি শব্দের ন্যঅয় যান্ত্রিক তরঙ্গ নয়। এটি এক প্রকার তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গ। তাই আলোর ক্ষেত্রে স্থির তরঙ্গ তৈরি করা সম্ভব নয়।

মুক্তিবেগ কী?

কোনো গ্রহের পৃষ্ঠ হতে যেকোনো বস্তুকে ন্যূনতম যে বেগে নিক্ষেপ করলে বস্তুটি ঐ গ্রহের অভিকর্ষের প্রভাব কাটিয়ে মহাশূন্যে চলে যাবে, তাকে ঐ গ্রহের মুক্তিবেগ বলে।

বীটের ক্ষেত্রে উৎসদ্বয়ের কম্পাঙ্কের পার্থক্য 10 Hz এর সমান ও এর চেয়ে বেশি সম্ভব নয় কেন?

বীটের ক্ষেত্রে উৎসদ্বয়ের কম্পাঙ্কের পার্থক্য 10 Hz এর বেশি হলে প্রতি সেকেন্ড 10 টির বেশি তীব্র শব্দ মানবকর্ণে পৌছাবে। মানবকর্ণ প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ 10 টির তীব্র শব্দ অনুধাবন করতে পারে।  সুতরাং শব্দ উৎসদ্বয়ের কম্পাংকের পার্থক্য 10 Hz এর বেশি হলে উৎপন্ন তীব্র শব্দ বা বীটগুলো মানবকর্ম আলাদাভাবে অনুধাবন করতে পারবে না, বরং একটানা একটি শব্দ শুনতে পারে।

একটি স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিলে যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।

একটি স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিলে এতে সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি সৃষ্টি হয়। এরূপ গতির বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ- ১) এটি একটি পর্যাবৃত্ত গতি। ২) এটি একটি স্পন্দন গতি। ৩) এটি একটি সরলরৈখিক গতি। ৪) ত্বরণ সর্বদা সাম্যাবস্থান অভিমুখী।

তরঙ্গ সৃষ্টিতে দায়ী মাধ্যমের কম্পন কি নিউটনের গতি সূত্র মনে চলে?

তরঙ্গ সৃষ্টিতে দায়ী মাধ্যমের কণাসমূহের কম্পন নিউটনের গতিসূত্র মেনে চলে কণাসমূহে প্রত্যয়নী বল এবং ত্বরণ এর অস্তিত্ব থাকায় এরা গতির দ্বিতীয় সূত্র মেনে চলে। গতি জড়তার দরুন কণাগুলো সাম্যাবস্থানে না থেমে আরও দূরত্ব অতিক্রম করে। সুতরাং এরা গতির প্রথম সূত্রও মেনে চলে।

error: Content is protected !!