কৌণিক সরণ কাকে বলে?

বৃত্তাকারে ঘূর্ণনরত কোনো বস্তুকণা একটি নির্দিষ্ট সময়ে বৃত্তের একটি নির্দিষ্ট চাপ পরিভ্রমণ করে। ঐ চাপ বৃত্তের কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে কৌণিক সরণ বলে। ঘূর্ণনরত বস্তুকণার ব্যসার্ধ ভেক্টর একটি নির্দিষ্ট সময়ে বৃত্তের কেন্দ্রে যে কোণ অতিক্রম করে তাকে কৌণিক সরণ বলে। এককঃ কৌণিক সরণকে সচরাচর রেডিয়ান কোণে পরিমাপ করা হয়। 1 radian = 1 rad … Read more

অষ্টক কাকে বলে?

উপসূরের কম্পাঙ্ক মূল সুরের দ্বিগুণ হলে তাকে অষ্টক বলে। কোনো একটি সুরের কম্পাঙ্ক যদি অপর একটি সুরের কম্পাঙ্কের দ্বিগুণ হয় তাহলে প্রথমটির কম্পাঙ্ককে দ্বিতীয়টির এক অষ্টক উপরে বলা হয়। বিপরীতক্রমে দ্বিতীয়টির কম্পাঙ্ককে প্রথমটির এক অষ্টক নিচে বলা হয়। কোনো একটি অষ্টকের অন্তর্গত আটটি সমসঙ্গতিপূর্ণ সুরকে সুরাষ্টক বলে। যেমন, 256 Hz এর এক অষ্টক উপরে 512 Hz. সঙ্গীতে … Read more

সুষম দ্রুতিতে সরল পথে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে না অথচ বৃত্তাকার পথে সুষম দ্রুতিতে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে

আমরা জানি, বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। বেগ একটি ভেক্টর রাশি। যার মান বা দিক বা উভয়ের পরিবর্তনে এটি পরিবর্তিত হয়। কিন্তু বেগের মানই হলো দ্রুতি। কাজেই সুষম দ্রুতিতে বস্তু সরল পথে চললে বেগের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং সরলপথে চলে বলে দিকেরও পরিবর্তন হয় না। ফলে ত্বরণ থাকে না। অপরপক্ষে সুষম দ্রুতিতে বৃত্তাকার … Read more

প্রাসের পাল্লা কাকে বলে?

প্রক্ষেপকটি আদি উচ্চতায় ফিরে আসতে যে অনুভূমিক দূরত্ব অতিক্রম করে তাই প্রাসের পাল্লা বা অনুভূমিক পাল্লা।

সরল দোলকের সূত্রাবলি

সরল দোলকের সূত্রসমূহ কৌণিক বিস্তার 4° এর বেশি না হলে সরল দোলকের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সূত্র চারটি প্রযোজ্য। প্রথম সূত্র—সমকাল সূত্র : কৌণিক বিস্তার ক্ষুদ্র হলে এবং দোলকের কার্যকরী দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকলে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে একটি সরল দোলকের প্রতিটি দোলনের জন্য সমান সময় লাগে। দোলনকাল কৌণিক বিস্তারের ওপর নির্ভর করে না।   দ্বিতীয় সূত্র—দৈর্ঘ্যের সূত্র : কৌণিক বিস্তার ক্ষুদ্র … Read more

শব্দের ব্যতিচার বলতে কী বুঝায়?

দুই বা ততোধিক শব্দতরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে শব্দের লব্ধি তীব্রতা কোথাও খুব বৃদ্ধি পায়, কোথাও বা তীব্রতা অনেক হ্রাস পায়। এই ঘটনাকে শব্দের ব্যতিচার বলে। শব্দের ব্যতিচারের উদাহরণ হলো স্বরকম্প বা বিট।

স্থির তরঙ্গের উৎপত্তির কারণগুলো কী কী?

স্থির তরঙ্গ উৎপন্ন হতে হলে দুটি সমরূপ তরঙ্গ পরস্পর বিপরীত দিক হতে এসে উপরাপতিত হতে হবে। সমরূপ তরঙ্গ মানে তরঙ্গদ্বয়ের কম্পাঙ্ক, পর্যায়কাল, তরঙ্গবেগ এবং বিস্তার একই হতে হবে। শুধুমাত্র গতিমুখ পরস্পর বিপরীত হবে।

কালিক ব্যতিচার কাকে বলে?

বিভিন্ন কম্পাঙ্কের সমজাতীয় দুটি তরঙ্গের যুগপৎ উপরিপাতনে যে ব্যতিচার সৃষ্টি হয় তাকে কালিক ব্যতিচার বলে। এরূপ ব্যতিচারের ফলে মাধ্যমের যেকোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গঠনমূলক ও ধ্বংসাত্বক ব্যতিচার সংঘটিত হয়। এরূপ ব্যতিচারের উদাহরণ বীট সৃষ্টি হওয়ার প্রতিক্রিয়া।

error: Content is protected !!