Home ভিডিও ক্লাস রসায়ন পদার্থবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান গণিত English প্রাক-প্রাথমিক

লোনা পানি কাকে বলে?

লোনা পানি কাকে বলে? লোনা পানি হলো সেই পানিতে যেখানে লবণ (সালফেট, ক্লোরাইড, কার্বনেট, এবং ব্রোমাইড) এর পরিমাণ স্বাদু পানির চেয়ে বেশি থাকে। সমুদ্রের পানিতে লবণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, তাই সমুদ্রের পানিকে লোনা পানি বলা হয়। সমুদ্রের পানিতে প্রতি লিটারে গড়ে 35 গ্রাম লবণ থাকে। লোনা পানির বিভিন্ন উৎস রয়েছে, যেমন: সমুদ্র: সমুদ্রের পানিতে লবণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রের পানিতে লবণ আসে পাহাড় থেকে নদীর মাধ্যমে বহন করে আনা খনিজ পদার্থ থেকে। ভূগর্ভস্থ পানি: ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণ থাকতে পারে যদি ভূগর্ভস্থ জল লবণাক্ত মাটি বা পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। লাগোয়া এলাকা: সমুদ্র বা অন্য কোনো লবণাক্ত জলাশয়ের কাছে অবস্থিত এলাকার পানিতে লবণ থাকতে পারে। লোনা পানির বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে, যেমন: খাবার: লবণ খাদ্যের স্বাদ বাড়ায়। শিল্প: লবণ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন কাগজ তৈরি, রাসায়নিক তৈরি, এবং খাদ্য সংরক্ষণ। কৃষি: লবণ মাটিতে লবণাক্ততা বাড়ায়, যা কিছু ধরনের উদ্ভিদের জন্য উপকারী। লোনা পানির কিছু ক্ষতিকারক প্রভাবও রয়েছে, যেমন: মানুষের স্বাস্থ্য: লোনা পানি পান করলে শরীরে লবণের মাত্রা বেড়ে

গোত্র প্রবর্তক মুনি কাকে বলে?

গোত্র প্রবর্তক মুনি কাকে বলে?

গোত্র প্রবর্তক মুনি হলো সেই মুনি যিনি প্রথমে গোত্রের প্রচলন করেন। তিনি ছিলেন একজন ঋষি বা সাধক যিনি মানুষের মধ্যে সমাজবদ্ধ জীবনযাপনের ধারণা প্রবর্তন করেন। গোত্র প্রবর্তক মুনি মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ঐক্য এবং সম্প্রীতির অনুভূতি জাগ্রত করেন। তিনি মানুষকে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি গোত্রের জন্য একটি নির্দিষ্ট নাম এবং পরিচয় প্রদান করেন। এই গোত্রগুলি পরবর্তীতে বংশপরম্পরায় চলে আসে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গঠিত হয়।

গোত্র প্রবর্তক মুনির নাম এবং পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে, অনেক ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় গ্রন্থে তার উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন, মহাভারতে ভীষ্ম পিতামহের বংশপরিচয়ের আলোচনায় গোত্র প্রবর্তক মুনির উল্লেখ রয়েছে। ভীষ্ম পিতামহের পূর্বপুরুষ ঋষি বংশের ছিলেন। তিনি মানুষের মধ্যে সমাজবদ্ধ জীবনযাপনের ধারণা প্রবর্তন করেন এবং বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করেন। ভীষ্ম পিতামহের গোত্র ছিল বৈশ।

গোত্র প্রবর্তক মুনির প্রচেষ্টার ফলে মানুষের মধ্যে সমাজবদ্ধ জীবনযাপনের ধারণা প্রসারিত হয়। মানুষ বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে একত্রিতভাবে বসবাস করতে শুরু করে। এতে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, ঐক্য এবং সম্প্রীতির অনুভূতি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, গোত্র প্রবর্তক মুনির প্রচেষ্টার ফলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী গঠিত হয়।

মন্তব্যসমূহ

সর্বাধিক পঠিত পোষ্টসমূহ

প্রকল্প কাকে বলে? প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য কী কী? উদ্যোক্তা কিভাবে প্রকল্প নির্বাচন করেন? প্রকল্প নির্বাচনে জনসংখ্যাকে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক বলা হয় কেন?

বিজ্ঞাপন কি? বিজ্ঞাপন কাকে বলে? বিজ্ঞাপনের প্রকারভেদ

নদীভাঙন, নদীভাঙনের কারণ, নদীভাঙনের প্রভাব

শিখন নকশা কাকে বলে?

ব্যাস কাকে বলে?

উৎপাদক কাকে বলে?