জিনগত বৈচিত্র্য কাকে বলে? জিনগত বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য
জিনগত বৈচিত্র্য কাকে বলে?
উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির মধ্যে জিনের তারতম্যের ফলে পৃথিবীর নানাস্থানে ভিন্নধর্মী ও নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীগোষ্ঠীর পার্থক্য চোখে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে, জিনের পার্থক্যের জন্য প্রজাতির ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রজাতির মধ্যে যত জিনগত বৈচিত্র্য দেখা যাবে, ততই বিভিন্ন পরিবেশে প্রতিটি প্রজাতি অধিকমাত্রায় অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করবে এবং নিজেদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে।
জিনগত বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য
- একটি নির্দিষ্ট বাসস্থানে বা বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ ও প্রাণী গোষ্ঠীর মধ্যে জিনের বৈচিত্র্য দেখা যায়।
- জিনের গঠনগত বৈচিত্র্যের ওপর প্রজাতির আচরণ, বংশবৃদ্ধি, প্রজনন ও অভিযোজনের পার্থক্য ঘটে।
- জিনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গাঠনিক পার্থক্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা যায়।
- পরিবেশের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক পরিবর্তনের ফলে প্রজাতি জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন পরিবেশে অভিযোজন হয়।
- প্রজাতির জিনগত বৈচিত্র্য প্রজাতিকে প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
- প্রজাতির জিনগত বৈচিত্র্র্য কমে গেলে পরিবেশ থেকে প্রজাতির অবলুপ্তি ঘটে।
আরো পড়ুনঃ