অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে?

অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে?

পদার্থ যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন শক্তি প্রয়োগ বা অপসারণ করে পদার্থকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত করা যায়।

যেমনঃ তাপ প্রয়োগ করে বরফকে পানিতে এবং পানিকে জলীয় বাষ্পে রূপান্তরিত করা যায়। আবার তাপ অপসরণ করে জলীয় বাষ্পকে পানিতে এবং পানিকে বরফে রূপান্তরিত করা যায়। পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার এ ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বলা হয়।

কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে গলন বলে। এর বিপরীত প্রক্রিয়া অর্থাৎ তরল থেকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তর প্রক্রিয়াকে কঠিনীভবন বলে। কোন পদার্থের তরল অবস্থা থেকে বায়বীয় অবস্থায় পরিবর্তনকে বাষ্পীভবন বলে।

নির্দিষ্ট তরলের বাষ্প বা গ্যাসকে তরল অবস্থায় রূপান্তর প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বা তরলীকরণ বলা হয়।

আবার কিছু কিছু পদার্থ কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি বাষ্পীভূত হতে পারে। যেমনঃ কর্পূর ও ন্যাপথালিন। কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি বাষ্পীভবন প্রক্রিয়াকে উর্ধ্বপাতন বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ

👉  গ্যাসের দুটি আপেক্ষিক তাপ থাকে কেন?

👉  গ্যাস কি এবং গ্যাসের বৈশিষ্ট্য

👉  বরফ গলনের আপেক্ষিক সুপ্ততাপ কত?

👉  মোলার আপেক্ষিক তাপ কি?

👉  আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে? 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url