অধিকার কাকে বলে?

অধিকার কাকে বলে?

সাধারণ অর্থে অধিকার বলতে নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু করার ক্ষমতাকে বুঝায়। এই অর্থে অন্যকে হত্যা করাও অধিকার বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু পৌরনীতিতে অবাধ ও স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতাকে অধিকার বলে না। 

সভ্য সমাজে স্বেচ্ছাচার সম্ভব নয়। অধিকার বলতে তাই নিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা বুঝায়। পৌরনীতিতে অধিকার বলতে কতকগুলি সুযোগ-সুবিধাকে বুঝায় যা ছাড়া ব্যক্তির ব্যক্তিত্ত্বের বিকাশ সম্ভব নয়। অধিকার সামাজিক বিষয়। 

অধ্যাপক লাস্কি বলেন, "অধিকার সমাজ বহির্ভূত বা সমাজ নিরপেক্ষ নয়, এটা সমাজভিত্তিক।" এজন্যই অধিকার অর্থ মঙ্গলময় জীবন। রাষ্ট্র সামাজিক কল্যাণের পরিবেশ সৃষ্টি ও সংরক্ষণ করে। এরূপ পরিবেশই ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধান সম্ভব। 

অধ্যাপক লাস্কি অধিকারের সংজ্ঞা দিয়ে যথার্থই বলেছেন, "অধিকার সমাজ জীবনের সেই সব অবস্থা যা ব্যতীত মানুষ তার সর্বোৎকৃষ্ট সত্তার সন্ধান লাভ করতে পারে না।"

টি, এইচ, গ্রীন অধিকার বলতে অনুরূপ ধারণা দিয়ে বলেন, "মানুষের অভ্যন্তরীণ গুণাবলির বিকাশ সাধনের জন্য অধিকার কতকগুলো বাহ্যিক শর্ত।"

সহজ কথায়, অধিকার কতকগুলো অনুকূল শর্তকে বুঝায় যা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

অধিকারের বৈশিষ্ট্য

অধিকারের সংজ্ঞা ও ধারণা বিশ্লেষণ করলে অধিকারের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।

১) অধিকার প্রকৃতপক্ষে সীমিত সুযোগ সুবিধা। রাষ্ট্র ও সমাজ কর্তৃক আরোপিত সীমাবদ্ধতার মধ্যেই অধিকার ভোগ করতে হয়।

২) অধিকার নিরংকুশ নয়। অধিকার ভোগ করতে হলে কর্তব্য সম্পাদন করতে হয়।

৩) অধিকার একটি সামাজিক বিষয়। সমাজ বহির্ভূত জীবনে অধিকারের কোন তাৎপর্য নেই।

৪) অধিকার একটি গতিশীল ধারণা। সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে অধিকারের প্রকৃতি ও বিস্তৃতির পরিবর্তন ঘটে।

৫) অধিকার ভোগের সাথে সকলের কল্যাণ জড়িত।

আরও পড়ুনঃ

👉  একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?

👉  যৌথ পরিবার কাকে বলে?

👉  ডিজিটাল বাংলাদেশ কাকে বলে?

👉  ভোটাধিকার কি একটি মৌলিক অধিকার?

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url