সূচক কাকে বলে? সূ্চক সংখ্যার ব্যবহার, সূচক সংখ্যার বৈশিষ্ট্য

সূচক কাকে বলে? 

অর্থাৎ সূচক সংখ্যা কাকে বলে? (সূচক মূলত এক ধরনের সংখ্যা)

সূচক সংখ্যা হলো সেই সকল মাত্রা যাহা সময়ের পরিবর্তনের ফলাফল নির্ণয় করে। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সূচক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়।

  • বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্যের ক্ষেত্রে
  • শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্যের ক্ষেত্রে
  • বিক্রয়লব্ধ দ্রব্যের ক্ষেত্রে
  • আমদানী ও রফতানি যোগ্য দ্রব্যের ক্ষেত্রে
  • জীবনযাত্রার মানের উপর ইত্যাদি।
Wheldon এর মতে,
"An index number is a device which shows by its variation the changes in a magnitude which is not capable of accurate measurement in itself or of direct valuation in practice".

সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে সংখ্যার সাহায্যে কোনো নির্দিষ্ট বৎসর বা সময়ের সাথে অন্য কোন বৎসর বা সময়ে কোন দ্রব্যের মূল্য বা উৎপাদনের আপেক্ষিক পরিবর্তনের আনুপাতিক হার নির্দেশ করা হয় তাকে সূচক সংখ্যা বলে। কোন একটি বৎসর বা সময়কে ভিত্তি হিসেবে ধরে সেই বৎসর বা সময়কে কতকগুলি দ্রব্যের মূল্যের বা উৎপাদনের সাথে অন্য কোন বৎসর বা সময়ে উক্ত দ্রব্যগুলি মূল্য বা উৎপাদনের পরিবর্তনের আনুপাতিক হারের তুলনা করার জন্য পরিসংখ্যানে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

সূচক সংখ্যার বৈশিষ্ট্য

  • সূচক সংখ্যা এক ধরনের গড়;
  • সূচক সংখ্যা শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়;
  • যেসব বৈশিষ্ট্য সরাসরি পরিমাপ করা যায় না তাদের তুলনামূলক পরিবর্তন পর্যালোচনা করে;
  • স্থান-কাল ভেদে কোন চলকের পরিবর্তন তুলনা করে।

সূচক সংখ্যার ব্যবহার

সূচক সংখ্যা মূলত সময়ের পরিবর্তনের সাথে দ্রব্যমূল্য বা উৎপাদনের পরিবর্তনের হার নির্দেশ করে। ইহা মজুরী, মুদ্রামান, জীবনযাত্রার মান, শিল্প ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মান নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।

১. অর্থনীতির ব্যারোমিটারঃ সূচক সংখ্যা কোন দেশের শিল্প উৎপাদন, আমদানী রফতানির গতি, অথনীতির উত্থান-পতন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরণ ইত্যাদি পরিমাপ করে তাই ইহাকে অর্থনীতির ব্যারোমিটার বলে।

২. নীতি নির্ধারণের সহায়কঃ ইহা সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পিত ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত দ্রব্যের পরিমাণ, মূল্য আয়-ব্যয় ইত্যাদির সূচক সংখ্যা জানা থাকলে ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনা নেয় সহজ হয়।

৩. তুলনামূলক পরিবর্তন পরিমাপঃ সূচক সংখ্যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সময় ভেদে কোন চলকের পরিবর্তন পরিমাপ করা। ইহা এমন সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন তুলনা করে যেগুলি সরাসরি সম্ভব নয় যেমন: জীবন-যাত্রার ব্যয়, মূল্যের মাত্রা ইত্যাদি।

৪. গতিধারা বুঝতে সাহায্য করেঃ দ্রব্যমূলের হ্রাস-বৃদ্ধি বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোন ব্যবসায়ী দ্রব্যমূল্যের ভবিষ্যৎ প্রবণতা সম্বন্ধে পূর্ব ধারণা পেতে পারে।

৫. বেতন স্কেল নির্ধারণ করা ক্ষেত্রেঃ বর্তমান কালে অনেক দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় সূচক প্রস্তুত করে প্রতি বৎসর বেতন সংশোধন করে।

৬. সূচক সংখ্যার সাহায্যে মুদ্রার মান সংকোচন করা হয়।

দ্রব্য সূচক কাকে বলে?

দ্রব্য সূচক হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্যের পরিবর্তন পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত একটি সংখ্যা। দ্রব্য সূচককে সাধারণত বাজার মূল্য সূচক (CPI) নামেও পরিচিত।

আরো জানুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url