প্রসঙ্গ কাঠামো কি বা প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে? | প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রকারভেদ | একমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো | দ্বিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো | ত্রিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো

প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে? 

যে দৃঢ় ব্যবস্থার সাপেক্ষে কোন বস্তুর অবস্থান, স্থিতি, গতি নির্ণয় করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বা প্রসঙ্গ বস্তু বলে।

কোনো বস্তুর গতি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা বিবেচনা করা হয়, যার সাপেক্ষে বস্তুটির গতি বর্ণনা করা হয়। একে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে। পরস্পর লম্ব তিনটি সরলরেখা দ্বারা গঠিত যে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার সাহায্যে কোনো বস্তুর অবস্থান বা গতি নির্ণয় করা যায় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রকারভেদ

প্রসঙ্গ কাঠামো প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

১। জড় প্রসঙ্গ কাঠামো

২। অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো


১। জড় প্রসঙ্গ কাঠামোঃ স্থির বা ধ্রুব বেগে গতিশীল কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে। কোনো জড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে নিউটনের তিনটি গতিসূত্রই প্রযোজ্য হয়।

২। অজড় প্রসঙ্গ কাঠামোঃ ত্বরণে গতিশীল কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোকে অজড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে। অজড় প্রসঙ্গ কাঠামোতে নিউটনের কোনো গতিসূত্রই প্রযোজ্য নয়।

প্রসঙ্গ কাঠামোর ধরণ-

একমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো

একমাত্রিক গতির ক্ষেত্রে যে সরল রেখা বরাবর বস্তুটি গতিশীল প্রথমেই তার একটি বিন্দুকে মূলবিন্দু এবং একটি দিককে ধনাত্মক ধরে নিতে হয়। এর পর এই প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে যাবতীয় পরিমাপ করতে হয়। ধরা যাক, পূর্ব পশ্চিমে বিস্তৃত একটি সোজা সড়ক বরাবর একটি সাইকেল গতিশীল। এখন এই সাইকেলের গতি বর্ণনার জন্য আমরা এ সড়ককে প্রসঙ্গ কাঠামো বিবেচনা করতে পারি। এই সড়কের উপর অবস্থিত যে কোন সুবিধাজনক বিন্দুকে মূলবিন্দু ধরা যেতে পারে। রাস্তার ধারে অবস্থিত একটি বড় গাছের পাশের বিন্দুকে মূলবিন্দু এবং রাস্তাটিকে x-অক্ষ ধরা যাক। ধরা যাক, পূর্ব দিক একক ভেক্টর i এর জন্য ধনাত্মক।

দ্বিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো

দ্বিমাত্রিক গতি বর্ণনা করার জন্য দুইটি অক্ষের তথা দ্বিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রয়োজন হয় । কোন তলে আনুভুমিক বরাবর X-অক্ষ ও উলম্ব বরাবর Y-অক্ষ এবং এদের ছেদ বিন্দুকে মূল বিন্দু ধরে ঐ তলে চলমান বস্তুর গতিই হলো দ্বিমাত্রিক গতি ।যেমন ,বোর্ডের উপর দিয়ে চলমান কোন পিপড়ার গতি দ্বিমাত্রিক গতি।

ত্রিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো

ত্রিমাত্রিক গতি বর্ণনা করার জন্য তিনটি অক্ষের তথা ত্রিমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামোর প্রয়োজন হয় । কোন স্থানে (space) একটি বিন্দু কল্পনা করে ঐ বিন্দুতে তিনটি পরস্পরছেদী রেখা যাদেরকে X-অক্ষ,Y-অক্ষ এবং Z-অক্ষ ধরা হয় । যেমন, প্লেনের গতি ত্রিমাত্রিক গতি। ; এর গতি বুঝানোর জন্য সর্বদা পূর্ব-পশ্চিম,উত্তর-দক্ষিণ এবং উপর-নিচ তিনটি মান উল্লেখ করা প্রয়োজন ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url