সুদ কাকে বলে?

  • ‘সুদ’ আরবীতে যাকে বলা হয় ‘আল রিবা’ আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘অতিরিক্ত’ বা ‘বেশী’। প্রায়োগিক দিক থেকে ইসলামে ‘সুদ’ বলতে বুঝায় সেই আয় যা কোন প্রকার পরিশ্রম ছাড়া অর্জিত হয় বা অতিরিক্ত আয় যা কোন প্রকার ব্যয় বা বিনিময় ছাড়া অর্জিত হয়। সহি হাদিসে বলা হয়েছে অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থই সুদ।

  • রিবা (আভিধানিক অর্থঃ বৃদ্ধি, আধিক্য, পরিবর্ধন, বেশি, স্ফীত, বিকাশ ইত্যাদি), যা উশুরি হিসেবেও পরিচিত, তা হল একটি আরবি শব্দ, যা ইসলামী পরিভাষায় সুদকে বোঝায়। ইসলামী শরীয়াহ মতে, লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনোরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে।

পবিত্র কোরআর মজিদের সুরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলছেনঃ

“যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।”

আবার, 
২৭৬ নং আয়াতে আল্লাহপাক বলছেন,
“আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।”

 অর্থনীতির পরিভাষায়, 

সুদ হলো অর্থ বা সম্পদ ধার নেওয়ার জন্য প্রদান করা ভাড়া। ঋণদাতা ঋণ প্রদানের জন্য এই সুদ ধার্য করে থাকে। মূল যে পরিমাণ অর্থ ধার নেওয়া হয়েছে তাকে বলা হয় মূল এবং এই মূল এর যত অংশ একটি নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে সুদ হিসেবে প্রদান করতে হয়, তাকে সুদের হার বলে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url