সার্বভৌমত্ব কাকে বলে?

রাষ্ট্র গঠনের প্রধান উপাদান হলো সার্বভৌমত্ব। সার্বভৌম শব্দ দ্বারা চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতাকে বোঝায়। সার্বভৌমত্ব হলো রাষ্ট্রের ঐ বৈশিষ্ট্য যার ফলে নিজের ইচ্ছা ছাড়া অন্য কোনো প্রকার ইচ্ছার দ্বারা রাষ্ট্র আইনসংগতভাবে আবদ্ধ নয়। প্রত্যেক সমাজ ব্যবস্থায় চূড়ান্ত ক্ষমতা কার্যকরী করার জন্য একটি মাত্র কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে। আর এ ক্ষমতাই হলো সার্বভৌম ক্ষমতা।

সার্বভৌমত্বের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ভূমি: সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড থাকতে হবে।
  • জনসংখ্যা: সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যা থাকতে হবে।
  • সরকার: সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি কার্যকর সরকার থাকতে হবে।
  • স্বাধীনতা: সার্বভৌম রাষ্ট্র অন্যান্য রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল নয়।

সার্বভৌমত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ধারণা। এটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ধারণার সাথে সম্পর্কিত। সার্বভৌমত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করতে পারে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।

সার্বভৌমত্বের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ঘোষণামূলক সার্বভৌমত্ব: এই ধারণার মতে, সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব ঘোষণার মাধ্যমে অর্জন করা হয়।
  • স্বাভাবিক সার্বভৌমত্ব: এই ধারণার মতে, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক অবস্থা।
  • সম্প্রদায়ভিত্তিক সার্বভৌমত্ব: এই ধারণার মতে, সার্বভৌমত্ব একটি রাষ্ট্রের জনগণের দ্বারা প্রদান করা হয়।

সার্বভৌমত্বের ধারণা আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। আন্তর্জাতিক আইনে, সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে সমতার অধিকারী।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url