পদার্থের অবস্থা বলতে কি বুঝ?

পদার্থের অবস্থা বলতে কি বুঝ?

তাপ ও চাপের উপর নির্ভর করে পদার্থ যে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় বিরাজ করে তাকে পদার্থের অবস্থা বলে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ধাতব মুদ্রা (Coin) পাওয়া যায়। আবার কেউ বা প্রাচীন কালের পুরান ধাতব মুদ্রা সংগ্রহ করেও মজা পায়। পুরান মুদ্রার ওপর অনেক সময় ময়লা জমে গিয়ে এর আসল বর্ণ পরিবর্তন করে ফেলে। একে পলিশ ক্রিম দ্বারা পলিশ করে নিলেই পূর্বের সুন্দর বর্ণ ফিরে আসে। আবার একটি কাঁচ বা মেলামাইন বা পোর্সেলিন এর পাত্রে সামান্য লেবুর রস বা তেঁতুল গোলা নিয়ে তার মধ্যে পুরনো মুদ্রাগুলো কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে এগুলো পরিষ্কার হয়ে উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করে। একইভাবে পাত্রের মধ্যে সামান্য ভিনেগার নিয়ে তার মধ্যে মুদ্রা গুলোকে ডুবালে একই ফলাফল দেখতে পাবে। এবার একটি কাঁচের বিকারের মধ্যে অত্যন্ত ক্ষয়কারী পদার্থ নাইট্রিক এসিড নিয়ে তার মধ্যে একটি বা দু'টি মুদ্রা ফেলে দিলে দেখা যাবে বুদ বুদ আকারে  গ্যাস বেরিয়ে যায়।

বিকারের বর্ণ নীল র্বণ ধারণ করা এবং মুদ্রার কিছুটা ক্ষয় হয়ে যাওয়া সবই পদার্থ। এগুলি পদার্থের তিনটি অবস্থা মাত্র। লালচে বাদামী বর্ণের ধোঁয়া পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থা, বিকারের নীল বর্ণের দ্রবণ পদার্থের তরল অবস্থা এবং ধাতব মুদ্রা পদার্থের কঠিন অবস্থা।

কঠিন পদার্থঃ ইট, কাঠ, পাথর, মোবাইল ফোন, শুষ্ক ব্যাটারি, বই, গ্লাস, প্লেট ইত্যাদি।

তরল পদার্থঃ দুধ, সরিষার তৈল, পানি, পারদ, কেরোসিন তৈল, সয়াবিন তৈল, তরল পানিয়, ফলের জুস, অ্যালকোহল ইত্যাদি।

গ্যাসীয় পদার্থঃ অক্সিজেন, কার্বন-ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url