অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে? অবস্থান্তর ধাতুগুলোর বৈশিষ্ট্য

অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?

যেসব d-ব্লক মৌল অন্তত এমন একটি আয়ন গঠন করে যার ইলেকট্রন বিন্যাসে d অরবিটাল আংশিক ভাবে পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।

অথবা,

যে সকল মৌলের সুস্থিত আয়নের সর্ববহিঃস্থ ইলেকট্রন বিন্যাস (n-1)d1-9 ns0-2 হয় তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে।

অবস্থান্তর ধাতুগুলোর বৈশিষ্ট্য 

অবস্থান্তর ধাতুগুলোর চারটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ধর্ম আছে। যেমন -

ক) অবস্থান্তর ধাতুর জারণ অবস্থা পরিবর্তনশীল। যেমন: Fe এর জারণ অবস্থা +2(FeO) এবং +3 (Fe2O3)।

খ) অবস্থান্তর ধাতু সমূহের যৌগ রঙিন হয়। যেমন: NiSO4 - সবুজ, CuSO4·5H2O - নীল, K2Cr2O4 - কমলা, Fe(OH)3 - বাদামী।

গ) এরা জটিল যৌগ গঠন করে। যেমন: K4[Fe(CN)6], [Cu(NH3)4]SO4, [Ag(NH3)2]NO3

ঘ) অবস্থান্তর ধাতু এবং তাদের যৌগ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যেমন: NH3 উৎপাদনের হেবার পদ্ধতিতে Fe এবং H2SO4 উৎপাদনের স্পর্শ প্রণালীতে V2O5 প্রভাবক।

আরো পড়ুনঃ

অবস্থান্তর মৌলগুলো সন্নিবেশ বন্ধন গঠন করে কেন?

অবস্থান্তর মৌলগুলোর ফাঁকা d অরবিটাল বিদ্যমান। তাই এরা গ্রহীতা পরমাণু। এরা মুক্তজোড় ইলেকট্রনের সাথে বন্ধনের মাধ্যমে সন্নিবেশ বন্ধন গঠন করে।

অবস্থান্তর মৌল রঙিন যৌগ গঠন করে কেন?

আমরা জানি, অবস্থান্তর মৌলের বহিঃস্থ দুটি d অরবিটালের সকলেই সমশক্তি সম্পন্ন হয়। এদের ডিজেনারেট অরবিটাল বলে।

অবস্থান্তর মৌলগুলো যখন লিগান্ডের সাথে যৌগ গঠন করে তখন এ ডিজেনারেট অরবিটালগুলোতে শক্তির পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এদের নন ডিজেনারেট অরবিটাল বলে।

এই নন ডিজেনারেট অরবিটালগুলো শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে সূর্যালোক হতে তরঙ্গাকারে শক্তি শোষণ করে। শোষিত শক্তির পর যে অবশিষ্ট থাকে তা পুনরায় বিকিরিত হয়ে তরঙ্গাকারে ফিরে আসে। এ বিকিরিত তরঙ্গই বর্ণের সৃষ্টি করে।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • নামহীন
    নামহীন ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ এ ৪:১৭ PM

    সুন্দর পোষ্ট।

    https://www.techlegionbd.com/2024/01/Transitions-Element-Defination-and-Properties-In-Bengali.html

Add Comment
comment url