রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের স্বীকার্যঃ 1911 খ্রিস্টাব্দে আলফা কণা (হিলিয়াম নিউক্লিয়াস) বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে রাদারফোর্ড পরমাণুর গঠন সম্পর্কে একটি মডেল প্রদান করেন। তা নিম্নরূপ- পরমাণুর কেন্দ্রস্থল একটি ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলা হয়। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য। নিউক্লিয়াসে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক আধান ও প্রায় সমস্ত ভর কেন্দ্রীভূত। পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। অতএব, নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন সংখ্যার সমান সংখ্যক ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে পরিবেষ্টন করে রাখে। সৌরজগতের সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহসমূহের মতো পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের চারদিকে অবিরাম ঘুরছে। ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রনসমূহের পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ইলেকট্রনের কেন্দ্র-বর্হিমুখী বল পরস্পর সমান। রাদারফোর্ড মডেল রদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতাঃ সৌরমন্ডলের গ্রহসমূহ সামগ্রিকভাবে আধানহীন
বাস্তুতন্ত্র কাকে বলে? কোনো একটি পরিবেশের অজীব এবং জীব উপাদানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া, আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবেশে যে তন্ত্র গড়ে উঠে তাকেই বাস্তুতন্ত্র বলে। অর্থাৎ বাস্তুতন্ত্র হলো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্ত জীবন্ত জিনিস যেমন: উদ্ভিদ, প্রাণী এবং জীব যেখানে জীবিত প্রাণীরা একে অপরের সাথে এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করে। বাস্তুতন্ত্রকে আপনি বলতে পারেন জীব এবং তাদের পরিবেশের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ার একটি শৃঙ্খল। বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ বাস্তুতন্ত্র দুই প্রকার। যথাঃ ১. স্থলজ বাস্তুতন্ত্রঃ এটি আবার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যেমন: বনভূমির বাস্তুতন্ত্র, মরুভূমির বাস্তুতন্ত্র ইত্যাদি। ২. জলজ বাস্তুতন্ত্রঃ জলজ বাস্তুতন্ত্র আবার তিন প্রকার যথা: পুকুরের বাস্তুতন্ত্র, নদ-নদীর বাস্তুতন্ত্র এবং সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র। বাস্তুতন্ত্রের উপাদান: বাস্তুতন্ত্রের দুইটি প্রধান উপাদান হলো: অজীব উপাদান জীব উপাদান অজীব উপাদান: প্রাণহীন সকল উপাদানকে অজীব উপাদান বলা হয়। যেমন: লবণ, মাটি, আলো, জীবের মৃত দেহাবশেষ ইত্যাদি। অজীব উপাদান ২ প্রকার। যথাঃ অজৈব/ভৌত উপাদান: অজৈব উপাদানের উদাহর
কোনো বস্তু প্রকৃতপক্ষে স্থির কি না তা নির্ভর করে প্রসঙ্গ বস্তুর উপর। প্রসঙ্গ বস্তু যদি প্রকৃতপক্ষে স্থির হয় তাহলে তার সাপেক্ষে যে বস্তু স্থিতিশীল রয়েছে সেও প্রকৃতপক্ষে স্থির। এ ধরনের অবস্থাকে আমরা পরম স্থিতি বলি। পরম গতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতিকে আমরা পরম গতি বলি। এ মহাবিশ্বে এমন কোনো প্রসঙ্গ বস্তু পাওয়া সম্ভব নয় যা প্রকতপক্ষে স্থির রয়েছে। কারণ পৃথিবী প্রতিনিয়ত সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, সূর্যও তার গ্রহ, উপগ্রহ নিয়ে ছায়াপথে গতিশীল। কাজেই আমরা যখন কোনো বস্তুকে গতিশীল বা স্থিতিশীল বলি, তা আমরা কোনো আপাত স্থিতিশীল বস্তুর সাপেক্ষে বলে থাকি। কাজেই আমরা বলতে পারি এ মহাবিশ্বের সকল স্থিতিই আপেক্ষিক - সকল গতিই আপেক্ষিক। কোনো গতিই পরম নয়, পরম নয় কোনো স্থিতিই।
যেসমস্ত সংখ্যার কোন ভগ্নাংশ থাকে না তাদের বলে পূর্ণ সংখ্যা । যেমন: ১, -৫, ১২ ইত্যাদি। শূন্য ছাড়া বাকি স্বাভাবিক সংখ্যাগুলিকে বলা হয় ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা (Positive Integers)। প্রত্যেক ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যার একটি এবং একটিমাত্র ঋণাত্মক বিপরীত সংখ্যা পাওয়া যায় যাতে করে এই দুই সংখ্যার (ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক) যোগফল হয় শূন্য। ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যাগুলির ঋণাত্মক বিপরীতগুলিকে বলা হয় ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা (Negative Integer) ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা, ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা, এবং শূন্য, এই তিনরকম ধরনের সংখ্যাগুলিকে সবমিলিয়ে বলা হয় পূর্ণসংখ্যা। সকল পূর্ণসংখ্যার সেটকে Z(ইউনিকোড U+২১২৪) চিহ্ন দিয়ে নির্দেশ করা হয়। জার্মান ভাষায় জাহলান (Zahlen) শব্দের অর্থ সংখ্যা যা থেকে চিহ্নটি এসেছে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন বিশ্ব উষ্ণায়ন বা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হলো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি।এটিকে গ্রিন হাউসের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাসকে দায়ী করা হয়। এগুলো হলো কার্বনডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, মিথেন, ওজোন, জলীয়বাষ্প প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ ১৮০০ সালের প্রথম দিকে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই কয়লা, তেল, গ্যাসোলিনের মত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ফলে বায়ুমণ্ডলের গ্রিন হাউজ গ্যাসের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি, বনায়ন এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়। কল-কারখানা ও যানবাহনের নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া, নগরায়ন, বাড়ি ঘরের অবকাঠামোতে বৈশিষ্ট্য, অতিরিক্ত খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভরতার কারণে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মিও পৃথিবী পৃষ্ঠে বসবাসরত জীবজগতের জীবনধারণে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বিশ্ব উষ্ণায়নের উল্লেখযোগ্য প্রভাবসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ জলবায়ু পরিবর্তনঃ বিশ্ব উষ্ণায়নের মুখ্য প্রভাব হলো জলবায়ু পরিব
বল নিজে স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয়। একে প্রকাশ করতে ভর ও ত্বরণের দরকার হয়। নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্র হতে আমরা জানি, বল = ভর × ত্বরণ । এখানে ভর মৌলিক রাশি ঠিকই; কিন্তু ত্বরণ আবার লব্ধ রাশি। কারণ ত্বরণ স্বাধীন বা নিরপেক্ষ নয়। ত্বরণকে প্রকাশ করতে দূরত্ব ও সময়ের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ বল = ভর × (সরণ ÷ সময় ২ ) সুতরাং বলকে প্রকাশের জন্য ভর, সরণ ও সময় এ তিনটি মৌলিক রাশি প্রয়োজন। তাই বল একটি লব্ধ রাশি।
উন্নয়নশীল দেশ বলতে সে সব দেশকে বোঝায় যে সব দেশে কিছুটা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ক্রমশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। যে সব দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়েছে এবং যে দেশগুলো অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে ওঠে ক্রমশ উন্নয়নের পথে ধাবিত হচ্ছে সে সব দেশকে উন্নয়নশীল দেশ বলে। অনুন্নত দেশের অর্থনীতি স্থবির হলেও উন্নয়নশীল দেশ বলতে একটি গতিশীল অর্থনীতি বোঝায়। উন্নয়নশীল দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়ও জীবন যাত্রার মান উন্নত দেশের তুলনায় কম। তবে এসব দেশ সরকারি ও বেসরকারি প্রচেষ্টায় দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে সচেষ্ট থাকে। ফলে এসব দেশের অর্থনীতি ক্রমশ বিকশিত হতে থাকে। যেমন - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ইত্যাদি।
যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় তাই আদিকোষ। যেসকল কোষে বা সেলে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাদের প্রোক্যারিওটিক সেল বা আদিকোষ বলে। প্রোক্যারিওটিক সেলে নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। ফলে নিউক্লিওবস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। এসব সেলে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবোজোম থাকে। নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়ায় এ ধরনের সেল পাওয়া যায়।
নাইট্রোজেন বেসের সাথে রাইবোজ সুগার যুক্ত হয়ে তৈরি হওয়া অ্যাডিনোসিনের সাথে এক বা একাধিক ফসফেট/ ফসফোরিক এসিড যুক্ত হয়ে অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট, অ্যাডিনোসিন ডাই ফসফেট, অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট গঠিত হয়। এভাবে ফসফেট যুক্ত হওয়ার সময় বাইরে থেকে শক্তি দিতে হয়। কোনো যৌগের সাথে এভাবে ফসফেট যুক্ত করার প্রক্রিয়াই হলো ফসফোরাইলেশন।
মন্তব্য
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন