- যে একা সেই সামান্য। যাহার ঐক্য নাই, সেই তুচ্ছ।বা একতাই বল।ভাবসম্প্রসারণ
- বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে, ভাবসম্প্রসারণ
- প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক। ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: পৃথিবীতে মানুষের শারীরিক উপস্থিতির সময় খুবই স্বল্প। এসময়ের মাঝে কেউ যদি মহৎ অবদান রাখে তবে সে স্মরণীয় হয় মহাকালের ইতিহাসে। অন্যথায় হারিয়ে যায় কালের গর্ভে।
সম্প্রসারিত ভাব: প্রকৃতির নিয়মেই মানুষ জন্মগ্রহণ করে আস্তে আস্তে বড়ো হয় এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্বল্পকালব্যাপী জীবনে মানুষ যদি কেবল ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাস ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে সে জীবন তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে না। মৃত্যুর পর নিকটাত্মীয়রা কিছুটা সময় তাকে মনে রাখে। তারপর একসময় সে হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতল গহ্বরে। কিন্তু যাঁরা মানবকল্যাণে নিজেদের ব্রতী করেন, জ্ঞানবিজ্ঞান ও শিল্প-সাহিত্যে মহৎ অবদান রাখেন তাঁরা হয়ে ওঠেন কীর্তিমান মানুষ। সব যুগে সবকালে তাঁরা মানুষের কাছে হন স্মরণীয়। তাঁরা তাঁদের কীর্তির মাঝে বেঁচে থাকেন অনন্তকাল। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, উইলিয়াম শেক্সপিয়র কিংবা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’ ছবিটি, শেক্সপিয়রের নাটকগুলো কিংবা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম তাঁদের অমর করে রেখেছে। তাঁদের মৃত্যুর শত শত বছর পরও আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তাঁদের এই অমরত্ব মানুষকে শিক্ষা দেয়, কেবল কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। মানবকল্যাণে অবদান না রেখে সুদীর্ঘকাল বেঁচে থাকলেও জীবন সার্থক হয় না।
মন্তব্য: স্বীয় কীর্তির মাধ্যমে মানবহৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান পাওয়ার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত বেঁচে থাকা। দৈহিক জীবন এ পথের নশ্বর উপাদান মাত্র।