সংজ্ঞাঃ পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে নদীবাহিত নুড়ি, কাকর, বালি, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে হাতপাকার মতো দেখতে প্রায় গোলাকার যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে পলল পাখা বা পলল ব্যজনী বলে।
সৃষ্টির কারণঃ পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমভূমিতে নেমে আসার সময় ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদী পর্বতের পাদদেশে পার্বত্য অঞ্চল থেকে বহন করে আনা ক্ষয়জাত পদার্থ সঞ্চয় করে পলল ব্যজনী গড়ে তোলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
১) পলল ব্যজনী অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম পলিকণা দ্বারা গঠিত হয়।
২) এর ঢাল গড়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি।
৩) অপেক্ষাকৃত মৃদু পার্বত্য বা মালভূমি ঢালে এটি গড়ে ওঠে।
উদাহরণঃ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় এরূপ অনেক পলল ব্যজনী দেখা যায়। আবার ভারতের কুশী নদীর পলল ব্যজনীটিও অত্যন্ত বিস্তৃত।