বাংলাদেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডাল। সহজ প্রাপ্য বিধায় সব শ্রেণির মানুষ কিনতে পারে এবং আমিষের চাহিদা মিটাতে পারে। তাই গরিব মানুষের জন্য সহায়ক পুষ্টি উপাদান ডাল।
ডালকে গরিবের মাংস বলার কারণঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ডাল ফসল চাষ হয়ে থাকে। একজন মানুষের প্রতিদিন গড়ে ২৩০০ কিলোক্যালরি শক্তি প্রয়োজন। আর এ শক্তি আসে প্রাণিজ ও উদ্ভিজ দুই ধরনের পুষ্টি উপাদান থেকে। কিন্তু প্রাণিজ আমিষ যেমন- মাংস, ডিম প্রভৃতি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বলে তারা কিনতে পারে না। কিন্তু উদ্ভিদজাত আমিষ, যেমন- ডাল সস্তা বিধায় সাধারণ মানুষ সহজেই কিনতে পারে এবং তারা ডাল খেতেও ভালোবাসে। এ ডালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমিষ থাকে। তাই সাধারণ মানুষ ডাল খেয়ে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাই ডালকে গরিবের মাংস বলা হয়।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে, মূলত মাছ ও মাংসের মতো দামী খাবারে যে সকল খাদ্য গুণ বিদ্যমান ডালের মতো সস্তা খাদ্য উপাদানে তা বিদ্যমান বিধায় গরিব মানুষ তা সহজে খেতে পারে।