কম্পিউটার আসক্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটারের সামনে ব্যয় করেন, যা তাদের পড়াশোনা, কাজ বা সামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলে। তারা বাস্তব জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর ফলে ঘুমের অভাব, চোখের সমস্যা, পিঠের ব্যথা এবং স্থূলতার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকেও তারা উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতার শিকার হতে পারেন। অনেক সময় তারা নিজেদের আসক্তি লুকাতে চেষ্টা করেন এবং এর কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পেশাদার সাহায্য নেওয়া জরুরি, যাতে ব্যক্তি একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন।
যে ব্যক্তি কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহারে এতটাই মগ্ন থাকেন যে তা তার দৈনন্দিন জীবন, সম্পর্ক এবং স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাকে কম্পিউটার আসক্ত ব্যক্তি বলা যেতে পারে। এই আসক্তি মাদকের আসক্তির মতোই ক্ষতিকর হতে পারে।
কম্পিউটারে আসক্ত একজন ব্যক্তি–
ক) অসামাজিক হয়ে যেতে পারে
খ) কম্পিউটারে দক্ষ হতে পারে
গ) লেখাপড়ায় ভালো হতে পারে
ঘ) জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করতে পারে
সঠিক উত্তর : ক) অসামাজিক হয়ে যেতে পারে