শোষিত খাদ্যবস্তুর প্রোটোপ্লাজমে পরিণত বা রূপান্তরিত করার পদ্ধতিই হলো আত্তীকরণ। আত্তীকরণ শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অর্থ বহন করে। সাধারণভাবে, কোনো কিছুকে নিজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা বা একীভূত করার প্রক্রিয়াকেই আত্তীকরণ বলে।
আত্তীকরণ হলো জীববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যেখানে কোষের ভিতরে খাদ্যের জটিল অণুগুলোকে সরল অণুতে পরিণত করা হয়। এই সরল অণুগুলো কোষের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। আসলে, আত্তীকরণ হলো খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার একটি প্রক্রিয়া।
কীভাবে আত্তীকরণ ঘটে?
আমরা যে খাবার খাই, তা মুখে চিবিয়ে গিলে ফেলি। এরপর খাদ্যনালী দিয়ে পাকস্থলিতে যায়। পাকস্থলিতে খাদ্য রসের সঙ্গে মিশে আংশিকভাবে ভেঙে যায়। এরপর খাদ্য অন্ত্রে যায়। অন্ত্রে খাদ্য আরও ভেঙে যায় এবং তারপর রক্ত শোষণ করে। রক্তের মাধ্যমে এই খাদ্য উপাদান শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যায়। কোষের ভিতরে বিভিন্ন এনজাইমের সাহায্যে খাদ্যের জটিল অণুগুলো সরল অণুতে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকেই আত্তীকরণ বলে।
আত্তীকরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আত্তীকরণের মাধ্যমে আমরা খাদ্য থেকে শক্তি পাই। এই শক্তি আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন, চলাফেরা ইত্যাদি করতে সাহায্য করে। আবার, আত্তীকরণের মাধ্যমে আমরা খাদ্য থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাই যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। এই পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরের কোষ গঠন এবং মেরামত করতে সাহায্য করে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, আত্তীকরণ হলো খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার একটি প্রক্রিয়া যা আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে।